কর্ণফুলীতে নৌ–তদন্ত কেন্দ্র উদ্বোধনে আইজিপি

Passenger Voice    |    ০৫:৪৩ পিএম, ২০২৪-০২-০৫


কর্ণফুলীতে নৌ–তদন্ত কেন্দ্র উদ্বোধনে আইজিপি

পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন বলেছেন নৌ–পুলিশের সাথে সমন্বয় করে কাজ করবে সিএমপির নৌ–তদন্ত কেন্দ্র। আমি মনে করি, নদীর নিরাপত্তার জন্য এই নৌ–তদন্ত কেন্দ্র ও নৌ–পুলিশ ফলপ্রসূভাবে কাজ করবে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এখানে বন্দর আছে। সে জন্য বন্দর থানার পাশাপাশি বন্দর ডিভিশন আছে। বন্দর এলাকার নিরাপত্তার জন্য সিএমপির সঙ্গে নৌ–পুলিশের সমন্বয় থাকা দরকার। গতকাল রোববার সকালে নগরীর কর্ণফুলী থানা এলাকার ডাঙ্গার চর নৌ–তদন্ত কেন্দ্র উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) স্থায়ী জমি থাকলেও অনেক থানা অস্থায়ী জায়গায়–এমন প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, এ বিষয়ে আমরা অবগত। আমাদের যেসব থানা বা ইউনিটগুলো নতুন করে হচ্ছে এসবের জন্য যেসব থানা বা স্থাপনার প্রয়োজন এর মধ্যে কিছু কিছু হয়েছে। আমাদের প্রতিটি স্থাপনা বা জায়গা পাওয়ার জন্য কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

পুলিশ প্রধান বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী। সরকারি যে বিধিবিধান রয়েছে, তার যথাযথ প্রয়োগের মধ্য দিয়ে আমরা এই বাহিনীর শৃঙ্খলা বজায় রাখছি। আমাদের সদস্যরা নিজেদের দায়িত্ব সুশৃঙ্খল পেশাদারিত্বের সঙ্গে যথাযথভাবে পালন করছে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, পেশাদারিত্বের দিক থেকে আমরা এক ঈর্ষণীয় পর্যায়ে অবস্থান করছি। বর্তমানে প্রযুক্তির উৎকর্ষের সঙ্গে সঙ্গে যে চাহিদা তৈরি হচ্ছে, এই বাহিনীর পেশাদারিত্বের জ্ঞান বৃদ্ধি ও উন্নতির জন্য সরকার আমাদের প্রতিনিয়ত সহযোগিতা করে যাচ্ছে। আমরা আমাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণে রেখেছি। মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতির বিষয়ে আইজিপি বলেন, বাংলাদেশ–মিয়ানমার সীমান্তে বিজিবি কাজ করছে। বিজিবির সঙ্গে সমন্বয় করে পুলিশও কাজ করছে। বিজিবি আমাদের কাছে সহযোগিতা চাইলে, আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করতে বাধ্য।

চট্টগ্রামে সম্প্রতি চুরির ঘটনা বেড়ে যাওয়া ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আইজিপি বলেন, আমাদের কেউ অপরাধ করলে তাকেও ছাড় দিচ্ছি না। এমনকি চুরি হওয়া স্বর্ণের ৭০ ভাগ আমরা উদ্ধার করেছি। পুলিশ আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্ব নিয়ে মানুষের নিরাপত্তার জন্য কাজ করছে। তবুও অনাকাঙ্খিত কিছু ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এ সময় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা, অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) এ এস এম মাহাতাব উদ্দিন, উপ–কমিশনার এস এম মোস্তাইন হোসেন, উপকমিশনার (বন্দর) শাকিলা সোলতানা, উপকমিশনার (ডিবি–বন্দর ও পশ্চিম) আলী হোমেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত শাহ আমানত সেতু থেকে কর্ণফুলী নদীর মোহনা পর্যন্ত এলাকায় বিভিন্ন অপরাধ দমনে নৌ তদন্ত কেন্দ্র টহলসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়। নৌ তদন্ত কেন্দ্রের জন্য ভূমি বরাদ্দ দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। রাজস্ব বাজেটের আওতায় ডাঙ্গারচর নৌ তদন্ত কেন্দ্রের জন্য দোতলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। কেন্দ্রে দুজন এসআই (নিরস্ত্র), দুজন এএসআই (নিরস্ত্র), দুজন এএসআই (সশস্ত্র), ৩০ জন কনস্টেবল, একজন বাবুর্চি ও একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ মোট ৩৮ জন নিযুক্ত রয়েছেন।